Great combination of Political Satire and Rom-Com.
নায়িকা প্রচুর সৎ! প্রচুর নীতিবান। এতই সৎ আর নীতিবান যে তার জ্বালায় কেউ শান্তিতে একটু অপকর্মও করতে পারে না! যেখানে অন্যায় দেখবে, সেখানেই নাক গলাবে, প্রতিবাদ করবে, সিভিল সার্ভিস অফিসে কমপ্লেইন করবে। এজন্য তার নামই হয়ে গেছে ‘কুইন অব সিভিল কমপ্লেইন’! এরজন্য প্রচুর ভুগতেও হয় তাকে। গ্রাজুয়েশানের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ বার চাকরি গেছে তার। সোশ্যাল গাদারিং-এ কেউ তারে পাত্তা দেয় না। এমনকি ৯ বছর ধরে প্রেম করা বয়ফ্রেন্ডের সাথেও ব্রেকাপ হয়ে যায় তার। চাকরি, প্রেম সব হারিয়ে সে এখন বেকার, পথে পথে ঘুরে আর পার্ট টাইম জব খুঁজে!! ??
নায়ক পঞ্চম গ্রেডের সিভিল সার্ভিস অফিসার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্লানিং এন্ড বাজেট সেকশনে কাজ করত। কিন্তু প্রচুর ঘাড়ত্যাড়া। সিনিয়রের সাথে বেয়াদবি করায় তার ডিমোশনাল বদলি হয় সিভিল কমপ্লেইন অফিসে। এখানে তার কাজ হচ্ছে কাস্টোমার সার্ভিস এক্সিকিউটিভের মত। লোকজন ইমেইলে কমপ্লেইন করবে, সে তাদেরকে কমপ্লেইনের উত্তর দিবে, হালনাগাদ তথ্য জানাবে।
নতুন অফিসে নায়কের জীবনে একটাই বিষফোঁড়া- কুইন অব সিভিল কমপ্লেইন!! তার দিন কাটে, রাত কাটে নায়িকার করা নানা অভিযোগের জবাব দিতে দিতে। সে টাইমলি বাসায় যেতে পারে না, খেতে পারে না, ঘুমাতে পারে না। এরই মাঝে নায়িকা একদিন নায়কের অফিসে ফ্রিল্যান্সের হিসাবে পার্ট টাইম জব খুঁজতে আসে। আর নায়ক সাথে সাথে তাকে হায়ার করে নেয়! তার উদ্দেশ্য ছিলো সিম্পল। নায়িকা বেকার বলেই দিন রাত এত কমপ্লেইন করার টাইম পায়। এখন যদি চাকরি-বাকরি কিছু একটা করে তাহলে এত কমপ্লেইন জানানোর টাইম পাবে না! সো, ইউ আর হায়ারড!! ??
কমপ্লেইন আসা তো বন্ধ হলো। কিন্তু এতদিন ধরে যে নায়করে জ্বালাইছে, এটার শোধ তোলা লাগবে না? নায়ক কারণে অকারণে নায়িকারে খোঁচায়, হুদাই প্যারা দেয়। তাও নায়িকা সব মুখ বুঝে সহ্য করে নেয়। কারণ চাকরির বাজারে আগুন। কিছু করার নাই! তাও শেষ রক্ষা হয় না। ডিস্ট্রিক রিপ্রেজেন্টরদের (আমাদের দেশের হিসাবে ধরেন সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর আরকি) একটা বিলের বিরোধিতা করতে গিয়ে আবারও চাকরি হারায় সে। রেগে-মেগে সে ডিসিশান নেয়- বহুত হইছে! আর করমু না চাকরি! রাজনীতি করমু এইবার! ভোটে দাঁড়ামু, নির্বাচন করমু! তারপর জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আরামসে বেতন গুনমু! গেস হোয়াট, ভোটে জিতেও যায় সে!!! ??
প্লট টুইস্ট ১- নায়কের আবারও ডিমোশনাল ট্রান্সফার হয়। এখন সে ডিস্ট্রিক রিপ্রেজেন্টরদের অফিসের সেক্রেটারি! মানে নায়িকা এখন তার বস! তাদের মিটিং চলার সময় নায়ক চা-নাস্তা দিয়ে আসে! তাদের খাওয়ার পরে বসে বসে কাপ-পিরিস ধোয়! মিটিং-এর এজেন্ডা প্রিন্ট করে। মানে বস থেকে কর্মচারী হয়ে গেছে আরকি!! ??
প্লট টুইস্ট ২- নায়িকার ভোটে দাঁড়ানোর পিছনে একটাই উদ্দেশ্য ছিল- মাস শেষে নিশ্চিত বেতন। কিন্তু ওদের ডিস্ট্রিক কিছুটা আর্থিক সমস্যায় পড়ায় সব রিপ্রেজেন্টেটর মিলে ডিসিশান নেয়- এইবার তারা কেউ কোন বেতন নিবে না। নায়িকার আপত্তি কেউ কানেও তোলে না! ফলাফল- নায়িকা এখন ডিস্ট্রিক রিপ্রেজেন্টের, কিন্তু তার কোন ইনকাম নাই! সারাদিন সিটি কাউন্সিলে কামলা খাটার পর পেট চালানোর জন্য রাতের বেলায় আবার ডেলিভারিম্যানের চাকরি করা লাগে তার!!! ??
প্লট টুইস্ট ৩- টোটাল রিপ্রেজেন্টেটর ১৩ জন। টোটাল রাজনৈতিক দল ২টা। দুই পার্টিরই ৬ জন করে মেম্বার। নায়িকা জিতছে স্বতন্ত্র পার্টি হিসাবে। সে একা, ফলে তারে কেউ গোণে না। তার কথার কেউ দাম দেয় না। তারে কেউ কথা বলার সুযোগ দেয় না। তাও সব মাইনা নেয়া যাইত। কিন্তু তারে কেউ বেতনও দেয় না। এত শখ করে ভোটে দাঁড়াইয়া নির্বাচন জিতছে, কিন্তু তার অবস্থা এখন- ছেড়ে দে মা কাইন্দা বাঁচি!! ??
এতক্ষণ যা বললাম তা শুধু প্রথম ৪ এপিসোডের কাহিনী। এরপর বাকি ১৬ এপিসোড পর্যন্ত নায়িকার স্ট্রাগল, নায়কের সাথে তার খুনসুটি, ধীরে ধীরে তাদের কাছাকাছি আসা, প্রেমে পড়া, তাদের দুষ্টু-মিষ্টি প্রেমের গল্প আর প্রচুর প্রচুর পলিটিক্স! পুরো ড্রামা জুড়ে একটা জিনিসই অনুভব করবেন- রাজনীতিতে ভালো মানুষের কোনো দাম নাই, চিরকাল বন্ধু বা চিরকাল শত্রু বলে কোন টার্ম নাই, সবাই নিজ স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত। অন্যান্য হ্যাপি এন্ডিং-এর ড্রামা শেষ হয় নায়ক-নায়িকার বিয়ে দিয়ে। কিন্তু এই ড্রামা শেষ হয় নায়িকার শপথ নেয়া দিয়ে- আর জীবনেও পলিটিক্সে জড়াবো না!
আগে কোথাও কখনো এই ড্রামার কোন রিভিউ পড়ি নি। ড্রামা শুরু করার সময় তেমন কোন এক্সপেক্টেশানও ছিল না। কিন্তু শেষ করলাম চমৎকার একটা স্যাটিসফেকশন নিয়ে। হাতে সময় থাকলে দেখতে পারেন। নেটফ্লিক্সে পাবেন। অথবা ড্রামাকুল কিংবা কিসএশিয়ানে। জনরা- পলিটিক্যাল স্যাটায়ার কিংবা রোমান্টিক কমেডি। অথবা এগুলোর মিশেলে কিছু একটা।
নায়ক পঞ্চম গ্রেডের সিভিল সার্ভিস অফিসার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্লানিং এন্ড বাজেট সেকশনে কাজ করত। কিন্তু প্রচুর ঘাড়ত্যাড়া। সিনিয়রের সাথে বেয়াদবি করায় তার ডিমোশনাল বদলি হয় সিভিল কমপ্লেইন অফিসে। এখানে তার কাজ হচ্ছে কাস্টোমার সার্ভিস এক্সিকিউটিভের মত। লোকজন ইমেইলে কমপ্লেইন করবে, সে তাদেরকে কমপ্লেইনের উত্তর দিবে, হালনাগাদ তথ্য জানাবে।
নতুন অফিসে নায়কের জীবনে একটাই বিষফোঁড়া- কুইন অব সিভিল কমপ্লেইন!! তার দিন কাটে, রাত কাটে নায়িকার করা নানা অভিযোগের জবাব দিতে দিতে। সে টাইমলি বাসায় যেতে পারে না, খেতে পারে না, ঘুমাতে পারে না। এরই মাঝে নায়িকা একদিন নায়কের অফিসে ফ্রিল্যান্সের হিসাবে পার্ট টাইম জব খুঁজতে আসে। আর নায়ক সাথে সাথে তাকে হায়ার করে নেয়! তার উদ্দেশ্য ছিলো সিম্পল। নায়িকা বেকার বলেই দিন রাত এত কমপ্লেইন করার টাইম পায়। এখন যদি চাকরি-বাকরি কিছু একটা করে তাহলে এত কমপ্লেইন জানানোর টাইম পাবে না! সো, ইউ আর হায়ারড!! ??
কমপ্লেইন আসা তো বন্ধ হলো। কিন্তু এতদিন ধরে যে নায়করে জ্বালাইছে, এটার শোধ তোলা লাগবে না? নায়ক কারণে অকারণে নায়িকারে খোঁচায়, হুদাই প্যারা দেয়। তাও নায়িকা সব মুখ বুঝে সহ্য করে নেয়। কারণ চাকরির বাজারে আগুন। কিছু করার নাই! তাও শেষ রক্ষা হয় না। ডিস্ট্রিক রিপ্রেজেন্টরদের (আমাদের দেশের হিসাবে ধরেন সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর আরকি) একটা বিলের বিরোধিতা করতে গিয়ে আবারও চাকরি হারায় সে। রেগে-মেগে সে ডিসিশান নেয়- বহুত হইছে! আর করমু না চাকরি! রাজনীতি করমু এইবার! ভোটে দাঁড়ামু, নির্বাচন করমু! তারপর জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আরামসে বেতন গুনমু! গেস হোয়াট, ভোটে জিতেও যায় সে!!! ??
প্লট টুইস্ট ১- নায়কের আবারও ডিমোশনাল ট্রান্সফার হয়। এখন সে ডিস্ট্রিক রিপ্রেজেন্টরদের অফিসের সেক্রেটারি! মানে নায়িকা এখন তার বস! তাদের মিটিং চলার সময় নায়ক চা-নাস্তা দিয়ে আসে! তাদের খাওয়ার পরে বসে বসে কাপ-পিরিস ধোয়! মিটিং-এর এজেন্ডা প্রিন্ট করে। মানে বস থেকে কর্মচারী হয়ে গেছে আরকি!! ??
প্লট টুইস্ট ২- নায়িকার ভোটে দাঁড়ানোর পিছনে একটাই উদ্দেশ্য ছিল- মাস শেষে নিশ্চিত বেতন। কিন্তু ওদের ডিস্ট্রিক কিছুটা আর্থিক সমস্যায় পড়ায় সব রিপ্রেজেন্টেটর মিলে ডিসিশান নেয়- এইবার তারা কেউ কোন বেতন নিবে না। নায়িকার আপত্তি কেউ কানেও তোলে না! ফলাফল- নায়িকা এখন ডিস্ট্রিক রিপ্রেজেন্টের, কিন্তু তার কোন ইনকাম নাই! সারাদিন সিটি কাউন্সিলে কামলা খাটার পর পেট চালানোর জন্য রাতের বেলায় আবার ডেলিভারিম্যানের চাকরি করা লাগে তার!!! ??
প্লট টুইস্ট ৩- টোটাল রিপ্রেজেন্টেটর ১৩ জন। টোটাল রাজনৈতিক দল ২টা। দুই পার্টিরই ৬ জন করে মেম্বার। নায়িকা জিতছে স্বতন্ত্র পার্টি হিসাবে। সে একা, ফলে তারে কেউ গোণে না। তার কথার কেউ দাম দেয় না। তারে কেউ কথা বলার সুযোগ দেয় না। তাও সব মাইনা নেয়া যাইত। কিন্তু তারে কেউ বেতনও দেয় না। এত শখ করে ভোটে দাঁড়াইয়া নির্বাচন জিতছে, কিন্তু তার অবস্থা এখন- ছেড়ে দে মা কাইন্দা বাঁচি!! ??
এতক্ষণ যা বললাম তা শুধু প্রথম ৪ এপিসোডের কাহিনী। এরপর বাকি ১৬ এপিসোড পর্যন্ত নায়িকার স্ট্রাগল, নায়কের সাথে তার খুনসুটি, ধীরে ধীরে তাদের কাছাকাছি আসা, প্রেমে পড়া, তাদের দুষ্টু-মিষ্টি প্রেমের গল্প আর প্রচুর প্রচুর পলিটিক্স! পুরো ড্রামা জুড়ে একটা জিনিসই অনুভব করবেন- রাজনীতিতে ভালো মানুষের কোনো দাম নাই, চিরকাল বন্ধু বা চিরকাল শত্রু বলে কোন টার্ম নাই, সবাই নিজ স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত। অন্যান্য হ্যাপি এন্ডিং-এর ড্রামা শেষ হয় নায়ক-নায়িকার বিয়ে দিয়ে। কিন্তু এই ড্রামা শেষ হয় নায়িকার শপথ নেয়া দিয়ে- আর জীবনেও পলিটিক্সে জড়াবো না!
আগে কোথাও কখনো এই ড্রামার কোন রিভিউ পড়ি নি। ড্রামা শুরু করার সময় তেমন কোন এক্সপেক্টেশানও ছিল না। কিন্তু শেষ করলাম চমৎকার একটা স্যাটিসফেকশন নিয়ে। হাতে সময় থাকলে দেখতে পারেন। নেটফ্লিক্সে পাবেন। অথবা ড্রামাকুল কিংবা কিসএশিয়ানে। জনরা- পলিটিক্যাল স্যাটায়ার কিংবা রোমান্টিক কমেডি। অথবা এগুলোর মিশেলে কিছু একটা।
Cet avis était-il utile?